Tuesday, November 3, 2009

কবিতা আমাদের কী কাজে লাগে?

গিন্নীরা কবিতা ফোড়ন ছাড়াই দু’বেলা রান্না করে যাচ্ছেন সুস্বাদু ব্যঞ্জন। কর্তারা সেসব উদরাস্ত করে উদয়াস্ত আরামের দিবানিদ্রায় যাচ্ছেন। কবিতার পাশবালিশ ছাড়াই দিব্বি নাক ডাকছেন প্রতিদিন। শিশুরা শিশুতোষ উৎসাহে বল বগলদাবা করে ঝাঁপিয়ে পড়ছে মাঠে; পাশের জমিতে দরদালানও উঠছে তরতর করে।

দালান বানাতে পারে এমন সিমেন্ট বা সুরকী কবিতার নেই। কবিতা ছাড়াই নগরী ভরে যাচ্ছে কংক্রিট জঙ্গলে। কৃষক ধান ফলাচ্ছে মাঠে, কৃষাণী ফি বছর গণ্ডা গণ্ডা বাচ্চা বিয়োচ্ছে, বস্ত্রশিল্পী বয়ন পাখির মত সেলাই করছে সভ্যতার পোষাক। এরা কবিতার নামও শোনেনি। একটি বীজের চেয়ে অক্ষম কবিতা, একজন বুনন শিল্পীর চেয়েও মূল্য সংযোজনে অপটু। বীজ থেকে গাছ হয়, গাছ থেকে মহীরুহ। কবিতা দিয়ে রাষ্ট্রীয় ব্যাঙ্কের কোন কোষাগার ভরে?

তবে এসবের পেছনে যাঁর অল্য ইশারা তিনি তো মস্ত কবি। আর ভেতরে ভেতরে যে মুগ্ধকর খেলা ব্যাখ্যাতীত শিল্পসৌন্দর্যের, সে সবই কবিতা। অদৃশ্য এক বীজের মত যার পল্লব মাথা তোলে দশদিকে, ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র; প্রান্তরে দোলায়িত ধান, শিশুদের দৌঁড়, বুনন পাখির সেলাইশিল্প, কর্তার ঘুম আর গিন্নীর ব্যঞ্জনে।

1 comment: