আমরা যখন পুরুষদের টেনিস খেলা দেখি তখন কেবল টেনিসই দেখি, কিন্তু মেয়েদের টেনিস সম্পূর্ণ ভিন্ন ব্যাপার। পুরুষদের টেনিসে কেবল একটিই সবুজ খরগোশ নেটের এধারে ওধারে লাফায়, তাকে অনুসরণরত আমাদের চোখও ক্রমাগত এপাশ ওপাশ করতে থাকে। কিন্তু মেয়েদের টেনিসে অসংখ্য উজ্জ্বল বস্তু এক গোলকধাঁধাঁ তৈরী করে, মনে হতে পারে গোটা সৌরমণ্ডলই বুঝি দৃশ্যমান, তাতে মঙ্গল থেকে আর বুধকে আলাদা করা যাচ্ছে না। কেবল মধ্যবর্তী উজ্জ্বল পারাপারই নয়, সংখ্যাতীত ইস্পাত সেতুর মুখোমুখি হয়ে ভাবতে থাকি কোনটা স্বর্গের সিঁড়ি, আর কোনটা নরকের। তাদের চকচকে বীম আর অধিবাস্তব থীম এমন লাফিয়ে উঠে যে বর্গাকার সমস্ত কাঠামোই এক বিপজ্জনক জিরাফের মত তৃণভূমির অনেক উপরে দোলায়িত মগডালের সঙ্গে পরিভ্রমনরত মেঘদের দর্পহারী বিন্দুদের রচিত সিন্ধুনদ, অতিবন্ধুর সোনালী ব্রীজের উপর দাঁড়ানো মৃদুনীল নৈশ দূরত্বের ইশারা, ঈশ্বরীর বিজলীপ্রভ উপস্থিতির পাশেই দেবদূতদের খোলা তরবারির ঝলক। যেন আকাশ থেকে নেমে আসছে অজস্র বিদ্যুতের ফলা আমাদের দৃষ্টিদ্যুতি বাড়াতে, আশ্চর্য আলোকিত এক আয়তকার উঠোনে দ্যুতিময় চমকানো এক হলুদাভ সবুজ বলের গায়ে নৈশ প্রহরে অজস্র বাতিমালার নীলাভ এক রানওয়ের ছড়ানো চাদরে ঘুমপরীদের আনাগোনা আর স্বপ্নের আদান-প্রদান...
বাঘ ও হরিণী উপাখ্যান
16 years ago

I forgot that I opened this blog ten years ago. OMG!
ReplyDelete